-
Facebook
-
Twitter
-
Linkedin
নয়াদিল্লিকে কড়া বার্তা ঢাকার
থাকা সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোরও সুন্দর সমাধান চায় ঢাকা। দুইপক্ষের উন্নয়ন যাত্রা এগিয়ে নিতে ভারতে অবস্থান করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি এবং সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার ঘটনায় ভারতীয় গনমাধ্যমের অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রত্যাশা করে না বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকার। ঢাকা মনে করে বিবৃতি, অতিরঞ্জিত সংবাদ দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইতিবাচক না। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বুধবার (১৪ আগস্ট) সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসলে উপদেষ্টা এই বার্তা দেন।
সাক্ষাত শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্ত নিয়ে আমি বলেছি, এই একটি ইস্যু আমরা চাইলে দুইপক্ষ অবশ্যই বন্ধ করতে পারি। আমি তাকে (ভারতীয় হাইকমিশনার) এটা বলেছি, আমি যখন মুক্ত (যখন উপদেষ্টা ছিলেন না) ছিলাম তখনও এটা নিয়ে অনেক লিখেছি এবং সেটা আমরা বিশ্বাস করি। আমার বিশ্বাস চাইলে আমরা এটা বন্ধ করতে পারি। উনি একটু দ্বিমত পোষণ করার চেষ্টা করেন। আমি বলেছি, সম্পর্ক মানুষ কেন্দ্রিক হবে। শুধু সরকার আর সরকারের মধ্যে সম্পর্ক হবে, মানুষের কোনো ভূমিকা থাকবে না সেটা নয়। কিছু সমস্যা আছে এটা দূর করতে হবে,ভালো করতে হবে। মানুষ যেন মনে করে তারা বন্ধু। তিস্তার কথা আমি এটুকু বলেছি যে পানি কম আছে আমি জানি। তিস্তায় একদেশের জন্য যেটুকু পানি সেটুকু নাই। কিন্তু আছে তো। আমি তাকে এ কথাটা বলেছি, পানি কম আছে, খুবই কম আছে। কিন্তু আছে তো। ১০০ কিউসেক পানিও যদি থাকে আপনারা আমাদের ৩০ কিউসেক পানিও দিতে পারেন না? তবে তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প নিয়ে কোনো আলোচনা হযনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যে বিবৃতি এসেছে তা আসলে আমাদের জন্য স্বস্তিকর না। আমরা চাই, উনি ভারতে বসে যেন এটা না করেন। এটাকে আমি হোস্টাইল (শত্রুতাবশত) অ্যাক্ট হিসেবে বলছি না। এটা তো আসলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে অন্তরায়। এটাই আমাদের কথা। ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিলে সেটা সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে না। এটা আমি তাকে (ভারতীয় হাইকমিশনারকে) বলেছি। সরকারের অবস্থান এটাই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির বিষয়ে কথা বলার পর ভারতীয় হাইকমিশনার কী জবাব দিয়েছেন জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটার জবাব উনি (হাইকমিশনার) কিভাবে দিবেন? উনি তো সিদ্ধান্ত পারবেন না। উনি এ নিয়ে কিছু বলতে পারেন না বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রদূতের পক্ষে এর উত্তর দেওয়া সম্ভব না। এটা সর্বোচ্চ পযায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। উনি যেটা পারেন, তার সদর দপ্তরে জানাবেন। আমি নিশ্চিত উনি এটা সদর দপ্তরে জানাবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে ফেরত আনা প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, মামলা হলে যদি তারা (আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) বলে ফেরত আনতে হবে, আমরা ফেরত আনব। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কিছু করার নাই। এটা দুটো মন্ত্রণালয়ের কাজ, স্বরাষ্ট্র এবং আইন। তারা যে নির্দশনা দিবে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব।
সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার ঘটনায় ভারতীয় গনমাধ্যম অতিরঞ্জন করার বিষয় নিয়েও ভারতীয় হাইকমিশনারকে বরেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখানে কিছু ঘটনা ঘটেছে সেটা আমরাও তদন্ত করছি। কারও ওপর হামলা এ সরকার বরদাস্ত করবে না। যেগুলো হয়েছে প্রত্যেকটি তদন্ত করে যাদের দোষী পাওয়া যাবে বিচারের আওতায় আনা হবে। ভারতীয় হাইকমিশনারকে বলেছি, ভারত গণমাধ্যম এটাকে অতিরঞ্জন করছে। এটা তাদের করা উচিত নয়।