
-
Facebook
-
Twitter
-
Linkedin
দাপুটে জয়ে সিরিজে সমতা বাংলাদেশের
হেরে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ সিরিজে সমতা ফেরাল। টাইগাররা আগে ব্যাট করে এদিন ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানে থামে। যা ছিল আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। অবশ্যই বড় জয়ের পথটা তৈরি হয়েছিল বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সুবাদে। আগের ম্যাচে দুইশ ছাড়ানো আফগানিস্তানকে মাত্র ১৮৪ রানেই আটকে দেয় বাংলাদেশ। বিপরীতে ৬৮ রানের এক দাপুটে জয়ে সিরিজে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সমতা। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা ৭ ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়।
শনিবার (৯ নভেম্বর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৯ বলে তিনি করেন ৭৬ রান। ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। শেষ দিকে ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অভিষিক্ত জাকের আলি। আর নাসুমের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২৫ রান। বাংলাদেশ করে ২৫২ রান।
২৫২ রানের টার্গেটে ভালো শুরুর আভাস মেলে আফগানদের ব্যাটিংয়ে। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রহমানউল্লাহ ফিরিয়ে তাসকিনের প্রথম আঘাত। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে গুরবাজ ক্যাচ দেন স্লিপে থাকা সৌম্যর হাতে। মাঝে জাকের আলী অনিক স্ট্যাম্পের পেছনে স্ট্যাম্পিং এবং ক্যাচ দুইই ছেড়েছেন। ৫২ রানের সেই জুটি ভেঙেছেন নাসুম আহমেদ। মিরাজ নিয়েছিলেন দারুণ এক ক্যাচ। অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদী আর রহমত শাহর পরের জুটি ৪৩ রানের। তখনো আফগানিস্তানের হাতেই ছিল ম্যাচ।
যদিও দৃশ্যপট বদল হতে সময় লাগলো না খুব একটা। ১১৮ রানে হাসমতউল্লাহ আউটের পরেই নাসুমের ওভারে আফগানিস্তান হারালো আরও দুই উইকেট। ১১৮ রানে ২ উইকেট থেকে ১১৯ রানে ৫ উইকেট। বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে সেখানেই। সবশেষ আফগানিস্তান ৪৩.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। আফগানদের পক্ষে সাদিকুল্লাহ আতাল ৩৯ ও হাসমতুল্লাহ শাহেদি ১৭ ও রহমত শাহ ৫২ করে রান করেন।
বাংলাদেশের হয়ে ৮.৩ ওভারে এক মেইডেনসহ ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান পান ২টি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তামিম। ফারুকির তৃতীয় ওভারেই মারেন দুটি চার। প্রথম ওয়ানডে জয়ের নায়ক অফস্পিনার গজনফর অপরপ্রান্তে বোলিং করছিলেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ছয় মেরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বার্তা দিতে থাকেন তামিম। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
এএম গজনফরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ২২ রানে ফেরেন তিনি। দলীয় ২৮ রানে ওপেনার তানজিদ তামিমের উইকেট পড়লেও শান্ত-সৌম্যর ব্যাটে ধাক্কা সামলিয়ে দারুণ ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ।
আফগান বোলারদের দেখেশুনে খেলে ব্যাটিং উইকেটে নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তারা। কিন্তু বিপত্তি বাধে রশিদ খানের স্পেলে। রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সৌম্য। তাতে ভাঙে ৭১ রানের জুটি। প্যাভিলিয়নের যাওয়ার আগে ৪৯ বলে করেন ৩৫ রান।
বাংলাদেশের ইনিংসের দলীয় ৭৪ রানে ৩ উইকেট থেকে ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হতে সময় লাগেনি। নানগালিয়ে খারোতের তিন আঘাতে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার। অধিনায়ক শান্ত বিদায়ের আগে ১১৯ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৭৬ রান সংগ্রহ করেন। মাহমুদউল্লাহ মাত্র ৯ বল স্থায়ী ছিলেন। তার ব্যাটে আসে মাত্র ৩ রান। ১০ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস কোথায় গিয়ে থামবে সেটা নিয়ে ছিল শঙ্কা। কিন্তু সপ্তম উইকেটে নাসুম ও জাকের আলী ৪৬ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ২৩০ রানে নাসুমকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন গাজানফার। বিদায়ের আগে ২৪ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ রান করেন নাসুম। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২৫২ রান করে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।