
-
Facebook
-
Twitter
-
Linkedin
আজ থেকে সমুদ্রে ৫৮ দিন মাছ ধরা নিষেধ
উপকূলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলোর বঙ্গোপসাগরে আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন যেকোনো প্রজাতির মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
এ সময় জেলেদেরকে সরকার ৭৮ কেজি করে চাল দেবেন। ভোলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বাসস’কে জানান, ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের সংখ্যা মোট ৬৫ হাজার। এসব জেলেরা আজ ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত থাকবেন। এ সময়টাতে সরকার তাদের মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক পানিসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারো এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার বাংলাদেশের সামুদ্রিক পানিসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সমুদ্রে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাষ্কফোর্স তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা। তথ্যমতে, ভোলায় সরকারের নির্ধারিত তালিকার বাইরেও সমুদ্রগামী জেলের সংখ্য্য লক্ষাধিক হবে বলে দাবি করেছেন মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জেলে সমিতির নেতারা।
ভোলা সদর ইলিশা মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: বাদশা মিয়া জানান, ভোলা হতে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া প্রকৃত জেলের সংখ্যা এক লাখের উপরে ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এসব জেলেদের সরকারী প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে ভোলার মেঘনাপাড়ের তুলাতিলি নামক এলাকার জেলে পল্লীতে গিয়ে কথা হয় সমুদ্রগামী জেলে মহব্বগ মাঝি, রুস্তম আলী ও কালিমুল্লাহ মাঝির সাথে। তারা জানান, বিগত সরকারের সময়ে নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি চাল তাদের ঠিক মতো দেয়া হত না। তবে সেই আশঙ্কা এখন আর না থাকায় এবার নিষেধাজ্ঞাকালীন তারা চাল পাবেন বলে আশা করছেন।
সূত্র : বাসস
নয়া দিগন্ত অনলাইন/১৫ এপ্রিল ২০২৫