
-
Facebook
-
Twitter
-
Linkedin
জিয়া উদ্যান নামে পুনর্বহাল
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্টের জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল ‘জিয়া উদ্যান’-এর নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে। সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের ১২.৩ অনুচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অবস্থিত ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’-এর পরিবর্তিত নামকরণ ‘জিয়া উদ্যান’ পুনর্বহাল করা হলো।
এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ‘জিয়া উদ্যান’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ রাখে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার তাদের উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে পূর্বের নাম ‘জিয়া উদ্যান’ পুনর্বহাল করল। ‘জিয়া উদ্যান’ রাজধানীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান।জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে ৭৪ একর জমির ওপর বিস্তৃত এই উদ্যান।সেখানে শহিদ প্রেসিডেন্টে জিয়াউর রহমানের কবর ঘিরে একটি মাজার কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী পরিবার-পরিজন নিয়ে ভ্রমণ ও জিয়ারত করতে আসেন।
লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী পাকিস্তান আমলে ১৯৬১ সালে সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৮২ সালে। এরমধ্যে ১৯৮১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হলে তাকে শেরেবাংলা নগরের ওই উদ্যানে দাফন করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে উদ্যানটিকে ফিরিয়ে দেয় তার আগের নাম ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’। পাশাপাশি ক্রিসেন্ট লেকের ওপর থেকে বেইলি ব্রিজটিও সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ২০০১ সালে আবারও বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেখানে কংক্রিটের ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের পাশাপাশি একটি কমপ্লেক্স গড়ে তোলে। কমপ্লেক্সের চারদিকে চারটি প্রবেশপথের রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, সম্মেলন কেন্দ্র ও মসজিদসহ চারটি স্থাপনা।
আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের ১৭ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) এক সভায় জিয়াউর রহমানের কবর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন ফ্যাসিষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইনকিলাব ডেস্ক/২০ মার্চ, ২০২৫