সেই ২০০০ সাল থেকে স্বচ্ছতার সাথে পথচলা...

November 23, 2025 9:02 pm

যেসব পাপের ফল মেলে দুনিয়াতেই

মানুষের পাপের শাস্তি হবে পরকালে। তবে কিছু পাপের শাস্তি দুনিয়াতেও ভোগ করবে পাপী ব্যক্তি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কোনো জাতির মধ্যে আত্মসাৎ বৃদ্ধি পেলে সে জাতির লোকদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার করা হয়। কোনো জাতির মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। কোনো সম্প্রদায়ের লোকেরা পরিমাপ ও ওজনে কম দিলে তাদের রিজিক সংকুচিত করা হয়। কোনো জাতির লোকেরা অন্যায়ভাবে বিচার-ফয়সালা করলে তাদের মধ্যে রক্তপাত বিস্তৃতি লাভ করে। কোনো জাতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর শত্রুদল চাপিয়ে দেন।’ (মুয়াত্তা মালেক, হাদিস : ১৩২৩)। হাদিস থেকে বুঝে আসে এসব বিষয়ের শাস্তির অংশ মানুষ দুনিয়াতেও ভোগ করবে।

ব্যভিচারের শাস্তি
ব্যভিচারের শাস্তি ভয়াবহ। হাদিসে এসেছে, ‘কোনো মানুষ যখন ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন তার ভেতর থেকে ঈমান বেরিয়ে যায় এবং এটি তার মাথার ওপর মেঘখণ্ডের মতো ভাসতে থাকে। অতঃপর সে যখন তওবা করে, তখন ঈমান আবার তার কাছে ফিরে আসে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৯০)

ওজনে কম দেওয়ার শাস্তি
পরিমাপে ও ওজনে কম দেওয়া নিষেধ। এটি জঘন্যতম খেয়ানত ও কবিরা গুনাহ। এর ফলে আল্লাহ মানুষের ক্ষেতখামারে ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দেন ও দুর্ভিক্ষ অবতীর্ণ করেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা মাপে কম দেয়, যারা মানুষের কাছ থেকে ওজন করে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে, আর যখন মানুষকে মেপে কিংবা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন, আয়াত : ১-৩)

মা-বাবার অবাধ্যতার শাস্তি
সন্তানের জন্য দুনিয়াতে জান্নাত এবং জাহান্নাম হচ্ছেন মা-বাবা। যে ব্যক্তি মা-বাবার হক আদায় করতে পারবে সে দুনিয়াতেই পাবে জান্নাতের সুঘ্রাণ। আর যে ব্যক্তি মা-বাবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে, দুনিয়ায়ই তার জন্য জাহান্নাম। মৃত্যুর আগে অবশ্যই সে ব্যক্তি মা-বাবার অবাধ্যতার শাস্তি ভোগ করবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক! ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক! ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক! জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন ব্যক্তি ইয়া রাসুলুল্লাহ? উত্তরে নবীজি (সা.) বললেন, যে তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে পেল অথবা তাদের একজনকে পেল কিন্তু তাদের খেদমত করে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না।’ (মুসলিম, হাদিস : ২/৩১৪)

প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শাস্তি
কারও সঙ্গে প্রতিশ্রুতি করলে তা পূরণ করা আবশ্যক। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা নিষেধ ও কবিরা গুনাহ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যার মধ্যে আমানতদারি নেই, তার মধ্যে ঈমান নেই। অনুরূপ যে ব্যক্তি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না, তার মধ্যে দীন নেই।’ (মেশকাত, হাদিস : ১৫)

জুলুম করার শাস্তি
কারও প্রতি অন্যায় ও জুলুম এমন অপরাধ, পরকালে তো এর জন্য আজাব রয়েছেই, দুনিয়াতেও রয়েছে কঠিন পরিণাম। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তুমি মজলুমের ফরিয়াদকে ভয় করো। কেননা তার ফরিয়াদের মাঝে এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।’ (বুখারি, হাদিস : ২২৮৬)

সময়ের আলো/
জাফর আহমাদ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আরও - লাইফ স্টাইল সংবাদ

আরও - ইসলাম সংবাদ