-
Facebook
-
Twitter
-
Linkedin
শ্বাসরুদ্ধকর সুপার ওভারে হারল বাংলাদেশ
মূল খেলায় শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান লাগত ৫। আকিল প্রথম দুই বল করলেন মিস। এরপরের দুই বলে হয় এক রান। শেষ দুই বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান লাগত ৩। ওভারের পঞ্চম বলে আকিল আউট হলে ১ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। শেষ বলে নতুন ব্যাটসম্যান খারি পিয়েরে ক্যাচ তুলে দিলে সেটা নিতে পারেননি নুরুল হাসান। দৌড়ে দুই রান নিয়ে ম্যাচ টাই করেন পিয়েরে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম টাই।
ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ালে বল হাতে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে নামেন শাই হোপ আর শেরফান রাদারফোর্ড। প্রথম বলে সিঙ্গেলস নেন হোপ। কিন্তু পরের বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে মিরাজের লো ক্যাচ হন রাদারফোর্ড।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে হেরে গেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারের খেলা টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১০ রান নিতে পারেনি টাইগাররা। অবিশ্বাস্য জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজও নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান সংগ্রহ করে।
বেশ নিয়ন্ত্রিত বল করেন মোস্তাফিজ। পরের তিন বলে দেন ৫ রান। কিন্তু শেষ বলে চার মেরে দেন হোপ। ১ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ১০ রান।
সুপার ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১। ক্যারিবীয়দের বল হাতে নেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নামেন সাইফ হাসান আর সৌম্য সরকার। প্রথম বলেই নো। ফলে ফ্রি-হিটসহ ৫ রান পায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় বলে ডট, তৃতীয় বলে মাত্র ১ নিতে পারেন সাইফ। চতুর্থ বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পঞ্চম বলে তার পায়ে হয় এক রান লেগ বাই। শেষ বলে সাইফ এক রানের বেশি নিতে পারেননি।
এর আগে ক্যারিবীয়দের লক্ষ্য ছিল ২১৪ রানের। ইনিংসের তৃতীয় বলেই আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। গোল্ডেন ডাকে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং। ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় সফরকারি দল।
এরপর কিয়েসি কার্টি আর আলিক আথানাজে জুটি গড়েন তোলেন। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে ১৪তম ওভারে আগের ম্যাচের নায়ক রিশাদ হোসেনের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মিরাজ। বল হাতে নিয়েই ৫১ রানের জুটি ভাঙেন রিশাদ, এলবিডব্লিউ করেন আথানেজেকে (৪২ বলে ২৮)।
তবে কার্টি এবার অভিষিক্ত আখিমকে নিয়ে আবার জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। ৩০ রানের সেই জুটি ভাঙে রিশাদের বলেই। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লিউ হন কার্টি (৫৯ বলে ৩৫)।
তানভীরের বলে আখিমকে সজোরে হাঁকানো বল স্কয়ার লেগে দারুণ দক্ষতায় ধরে ফেলেন রিশাদ। আঙুলে ব্যথাও পান। আখিম করেন ২৯ বলে ১৭। গুদাকেশ মোতিকে (২১ বলে ১৫) বোল্ড করেন রিশাদ।
১২৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে বলতে গেলে ছিটকে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর রস্টন চেজ ১১ বলে ৫ করে নাসুমের দ্বিতীয় শিকার হন। বল ব্যাটে লেগে উইকেটরক্ষকের কাছে গেলেও আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে জেতে বাংলাদেশ।
২১ অক্টোবর, ২০২৫