-
Facebook
-
Twitter
-
Linkedin
এনসিপি কোনো জোটে যাবে কি না, জানালেন সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আগামী বাংলাদেশ এবং জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐক্যমত হয়ে জোটের সুযোগ থাকে, তাহলে এনসিপি জোটে যাবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর একটি হোটেলে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার এনসিপির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, যদি তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একমত থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একমত থাকে, বাংলাদেশে আধিপত্যবাদ বিরোধী এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিরোধী তাদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারে, এই বিষয়গুলোতে ঐক্যমত হলে জনগণের স্বার্থে জোট হতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যাদের নির্দেশে হাজারের অধিক মানুষকে খুন করা হয়েছে, গণহত্যা করা হয়েছে, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে হাজার হাজার গুম, খুন বিচার বহির্ভূত হত্যা করেছে, সেই খুনিরা এই বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে না। ইসি যদি আগের মতো দলীয় কোনো কমিশনে পরিণত হয়, তাহলে পরিণতি তাদের পূর্বসূরীদের মতোই হবে।
এনসিপি নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে এনসিপি এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনে নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা যদি আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারি, ডিসেম্বরের মধ্যে যদি প্রতিটি ওয়ার্ডে আহ্বায়ক কমিটি থাকে, তাহলে ৩০০ আসনে আমরা শক্তিশালী প্রার্থী দিতে পারব।
আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি থাকবে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিংবা দলের সাংগঠনিক ভিত্তি বা রাজনৈতিক শক্তিমত্তা জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা—এসব ভিত্তির জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করা অতিব জরুরি। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা-উপজেলায় এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো অধিকার নেই বলে জানান তিনি।
সারজিস আলম বলেন, প্রতীকের ব্যাপারে তারা বলেছেন যে, আমরা শাপলা কুড়ি নিয়েই নির্বাচনে যাচ্ছি। তবে ইসিকে আমাদের জায়গা থেকে আহ্বান করব, তারা যদি একই ধরনের আচরণ আগামীতে করে, তবে তাদের ওপরে কিন্তু আস্তার সংকট তৈরি হবে। আমরা চাই তারা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ সুষ্ঠুভাবে তাদের প্রতিষ্ঠানে যে স্বাধীন সাংবিধানিক অবস্থা সেটা যেন বজায় রাখে।
আরআর
সময়ের আলো/০৩ নভেম্বর ২০২৫