
-
Facebook
-
Twitter
-
Linkedin
ফের আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ফের আন্দোলনে যাচ্ছেন। বেতনকাঠামো, পদোন্নতির জটিলতা এবং পেশাগত উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অসন্তোষ এবার পূর্ণ কর্মবিরতিতে রূপ নিতে যাচ্ছে।
আগামীকাল সোমবার থেকে কর্মবিরতিসহ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছেন তারা। ২৬ মে পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা বলছেন, একাধিকবার সরকারের কাছে দাবি জানানো হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন।
১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে দাবিতে ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও দাবি না মানা হলে ১৬ থেকে ২০ মে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। চূড়ান্তভাবে ২৬ মে থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাবেন তারা।
শিক্ষক নেতারা বলছেন, প্রথমত তারা কনসালটেশন কমিটির প্রস্তাবিত ১২তম গ্রেড সংস্কার করে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। যেখানে সহকারী শিক্ষক পদকে ‘অ্যান্ট্রি’ পদ হিসেবে বিবেচনার দাবি তোলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ১০ বছর এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে, তা দূর করার দাবি জানানো হয়েছে। তৃতীয়ত, প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা ও দ্রুত পদোন্নতির দাবি জানানো হয়েছে।
শিক্ষকদের বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচির পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে ১২তম গ্রেডে উন্নীতকরণের সুপারিশসহ প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।
গত ২৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয় থেকে মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত কনসালটেশন কমিটির প্রতিবেদনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিদ্যমান বেতন কাঠামো অনুযায়ী দশম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষককে বিদ্যমান বেতন কাঠামো অনুযায়ী ১২তম গ্রেডে উনীতকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্ট থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডের প্রস্তাবনা মেনে নিতে পারছি না। আমরা চাই, ন্যূনতম ১১তম গ্রেডে সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে বেতন নির্ধারণ এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি। পাশাপাশি উন্নীত স্কেল ও উচ্চতর গ্রেডের সমস্যা সমাধান করে ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রথম ও দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেড প্রদানের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।
সময়ের আলো /০৪ মে ২০২৫