সেই ২০০০ সাল থেকে স্বচ্ছতার সাথে পথচলা...

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’ আহ্বান জানিয়ে ফতোয়া জারি

অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের ওপর ১৭ মাস ধরে চলা নৃশংস ও নির্বিচার ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার তারা এ ফতোয়া জারি করেন।

বিশ্বের সব মুসলিম ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ করার আহ্বান জানিয়ে একটি বিরল ধর্মীয় ফরমান বা ‘ফতোয়া’ জারি করেছেন বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট বিশিষ্ট মুসলিম আলেম।

শনিবার (৫ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের ওপর ১৭ মাস ধরে চলা নৃশংস ও নির্বিচার ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় গতকাল শুক্রবার তারা এ ফতোয়া জারি করেন।

ইউসুফ আল-কারযাভীর নেতৃত্বে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারসের (আইইউএমএস) মহাসচিব আলী আল-কারদাঘি শুক্রবার সব মুসলিম দেশকে ‘এই গণহত্যা এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে অবিলম্বে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

আলী আর কারদাঘি ১৫ দফা–সংবলিত ওই ফতোয়ায় বলেন, ‘গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে আরব ও ইসলামিক সরকারগুলো ব্যর্থ হলে তা ইসলামিক আইন অনুযায়ী আমাদের নিপীড়িত ফিলিস্তিনি ভাইদের বিরুদ্ধে বড় অপরাধ বলে গণ্য হবে।’

কারদাঘি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে সম্মানিত ধর্মীয় নেতাদের একজন। তার ফতোয়াগুলো বিশ্বের ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলমানের কাছে উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করে।

‘ফতোয়া’ হলো ইসলামিক আইনি আদেশ, যা সাধারণত কুরআন বা সুন্নাহ’র (মহানবী হজরত মুহম্মদ স:-এর বাণী ও অনুশীলন) উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়।

তিনি বলেন, ‘গাজায় আমাদের ভাইদের সহায়তার লক্ষ্যে দখলদার শত্রুদের স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে অবরুদ্ধ করার দাবি জানিয়ে কমিটি (আইইউএমএস) একটি ফতোয়া জারি করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গাজার মুসলমানদের নির্মূলে কাজ করা কাফের শত্রুকে (ইসরাইল) সমর্থন করা নিষিদ্ধ, তা সে যে ধরনের সমর্থনই হোক না কেন।’ এদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা অথবা স্থল, পানি বা আকাশপথে সুয়েজ খাল, বাব এল-মান্দেব ও হরমুজ প্রণালির মতো আন্তর্জাতিক পানিসীমা বা বন্দরের মাধ্যমে তাদের পরিবহনকে সহায়তা করা নিষিদ্ধ।

কারদাঘির বিবৃতির প্রতি অন্য আরো ১৪ জন মুসলিম আলেম সমর্থন জানিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বিশ্বের সব মুসলিম দেশের প্রতি তাদের সাথে ইসরাইলের শান্তিচুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চাপ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তিনি আগ্রাসন বন্ধে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করেন।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই
নয়া দিগন্ত অনলাইন/০৫ এপ্রিল ২০২৫

আরও - আন্তর্জাতিক সংবাদ

আরও - ইসলাম সংবাদ