-
Facebook
-
Twitter
-
Linkedin
‘মোন্থা’র প্রভাবে বিমান-ট্রেন চলাচল বাতিল
‘মোন্থা’র প্রভাবে ইতোমধ্যেই অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলজুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। নিরাপত্তার স্বার্থে বেশকিছু ট্রেন ও বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। ক্রমেই ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’। শক্তি সঞ্চয় করে এটি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুসারে, সোমবার রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি মছলিপত্তনম থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং কাকিনাড়া থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করেছিল। ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-উত্তরপশ্চিমমুখে অগ্রসর হয়ে এটি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
বিশাখাপত্তনম, পূর্ব ও পশ্চিম গোদাবরী এবং কোনাসীমা জেলার নিচু অঞ্চলগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, জরুরি সেবাকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং বিদ্যুৎ ও পানীয়জল সরবরাহ সচল রাখতে বিকল্প ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় অন্ধ্র উপকূল দিয়ে চলাচল করা ৬৫টি যাত্রী ও দূরপাল্লার ট্রেন মঙ্গলবার ও বুধবার বাতিল করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দর থেকেও ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সব ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গেও পড়বে বৃষ্টির প্রভাব। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বৃহস্পতিবার থেকে বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায়ও বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশা, তেলঙ্গানা ও তামিলনাড়ু প্রশাসনকেও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। চিলকা হ্রদে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অন্ধ্র উপকূল থেকে মাছ ধরতে যাওয়া ৩০টি ট্রলার গোপালপুর বন্দরে নিরাপদে নোঙর করেছে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের জন্য আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে।
২৮ অক্টোবর, ২০২৫