সেই ২০০০ সাল থেকে স্বচ্ছতার সাথে পথচলা...

মন ঠিক হলে স্বাস্থ্যসেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হবে: প্রধান উপদেষ্টা

চিকিৎসকদের নিজের দায়িত্ব, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও সক্ষমতা নিয়ে চিকিৎসাসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তা হলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সিভিল সার্জন সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সোমবার এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে সোমবার দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, স্বাস্থ্যসেবা যে স্বাস্থ্যহীন সেটা আমরা সবাই বুঝি এবং একে অপরকে দোষ দিই…, কিন্তু দোষ দিলে তো স্বাস্থ্যহীনতা দূর হয়ে যাবে না। এটার প্রতিকার করতে হবে যাতে করে আমরা স্বাস্থ্যসেবা সঠিক করতে পারি। দুনিয়ার যত দেশ আছে, যত জাতি আছে তারা যদি নিজ নিজ স্বাস্থ্যসেবা আমাদেও চেয়ে ভালো করতে পারে তা হলে আমাদের মধ্যে কী গাফিলতি আছে, কী অভাব আছে যে কারণে আমরা পারছি না… নিজেদের কাছে আত্মজিজ্ঞাসা কীভাবে আমরা এটা ঠিক করতে পারব। আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তা হলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।

স্বাস্থ্যসেবায় সিভিল সার্জনরা মূল কাণ্ডারি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের যথেষ্ট সাফল্য থাকলেও ঔষধ খাত, যন্ত্রপাতিসহ জনবলের ঘাটতি প্রকট থাকায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত এখনও অনেকটাই পেছনে। কিন্তু সিভিল সার্জনরা তাদের মেধা, মনন ও দায়িত্বশীলতাকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সাত হাজার সুপার নিউমারি পদ সৃষ্টি করে প্রমোশনের কাজ চলমান আছে বলে সম্মেলনে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। শুধু ডাক্তার নয়, নার্সও নিয়োগ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কোভিড মহামারি ও জুলাই আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করায় সকল চিকিৎসককে অভিনন্দন জানান।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. সাইয়েদুর রহমান বলেন, প্রমোশন, পদায়ন, বাজেট এবং ওষুধের অপ্রতুলতা সমস্যার সমাধান হলেই স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি সম্ভব। স্বাস্থ্য খাত পুনর্গঠনের জন্য ইউনিক হেলথ কার্ড করা হবে। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকার সিভিল সার্জন ড. মো. জিল্লুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু জাফর।

আরও - জাতীয় সংবাদ

আরও - জেলা সংবাদ

আরও - স্বাস্থ্য সংবাদ